এ্যাসাইনমেন্ট

পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট বিভিন্ন অবস্থায় পরিমাপ

এসএসসি ২০২২ (১০ম শ্রেণি) ৫ম সপ্তাহের এ্যাসাইনমেন্ট জীব বিজ্ঞান এর উত্তর– পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট বিভিন্ন অবস্থায় পরিমাপ নিয়ে হাজির হলাম। দশম শ্রেণীর জীব বিজ্ঞান বিষয়ের ৫ম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য প্রণীত এই উত্তরটি/সমাধানটি (পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট বিভিন্ন অবস্থায় পরিমাপ) অনুসরণ করে তোমরা মূল্যায়নে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

পরিবারের একজন সদস্যের পালস রেট অবস্থায় পরিমাপ

রক্ত চলাচলের সময় ধমনির গায়ে যে চাপ তৈরি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে। হৃৎপিণ্ডের সংকোচন বা সিস্টোল অবস্থায় ধমনির গায়ে রক্তচাপের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। একে সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) বলে। হৃৎপিণ্ডের (প্রকৃতপক্ষে নিলয়ের) প্রসারণ বা ডাইয়াস্টোল অবস্থায় রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে। একে ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure) বলে।

চিকিৎসকদের মতে, পরিণত বয়সে একজন মানুষের আদর্শ রক্তচাপ (Blood pressure) সাধারণত ১২০/৮০ মিলিমিটার মানের কাছাকাছি। রক্তচাপকে দুটি সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়।

প্রথমটি উচ্চমান এবং দ্বিতীয়টি নিম্নমান। রক্তের উচ্চ চাপকে সিস্টোলিক (Systolic) চাপ বলে যার আদর্শ মান ১২০ মিলিমিটারের নিচে। নিম্নচাপকে ডায়াস্টোলিক (Diastolic) চাপ বলে। এই চাপটির আদর্শ মান ৮০ মিলিমিটারের নিচে।

Related Articles

এই চাপটি হৃৎপিণ্ডের দুটি বিটের মাঝামাঝি সময় রক্তনালিতে সৃষ্টি হয়। দুধরনের রক্তচাপের পার্থক্যকে ধমনিঘাত বা নাড়িঘাত চাপ (Pulse pressure) বলা হয়। সাধারণত সুস্থ অবস্থায় হাতের কব্জিতে রেট তথা হৎস্পন্দনের মান প্রতি মিনিটে ৬০-১০০। হাতের কব্জিতে হালকা করে চাপ দিয়ে ধরে পালস রেট বের করা যায়।

স্ফিগমােম্যানােমিটার (Sphygmomanometer) বা সংক্ষেপে বিপি যন্ত্রের সাহায্যে রক্তচাপ মাপা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে ডায়াস্টোলিক ও সিস্টোলিক চাপ দেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা যায়।

নিচে আমার পরিবারের একজন সদস্যের ( আমার আব্বু) হাতের পালস রেট নির্ণয় করা হলো। এ পরীক্ষাটি তিনি ঘুম থেকে ওঠার পর করেছিলাম। কারণ পরীক্ষাটি করার সময় ব্যক্তিকে পরীক্ষণ এর পূর্বে অন্তত ৬ ঘন্টা চা, কফি, ধূমপান থেকে দূরে থাকতে হয়।

নিচে  আমার বাবার বিভিন্ন সময়ে তথা শোয়া, হাটা, বসা,  ৫ মিনিট দৌড়ানোর পর পালস রেট নির্ণয় করে উল্লেখ করা হলঃ

শারীরিক অবস্থা পালস রেট( প্রতি মিনিটে)
১. শোয়া ৭৪
২. বসা ৭৬
৩. দাঁড়ানো ৮০
৪. ৫ মিনিট দ্রুতবেগে হাঁটা ১২০

উল্লেখিত ছক ব্যবহার  করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অবস্থায় প্রতি মিনিটে পালস রেট এর লেখচিত্র নিম্নরুপঃ

বিভিন্ন সময়ে তাঁর পালস রেট বিভিন্ন রকম। এর কারণ হচ্ছে তিনি সেই সময়গুলোতে আলাদা আলাদা শারীরিক অবস্থায় ছিলেন। শোয়া অবস্থায় তার শারীরিক কর্মকাণ্ড  সবচেয়ে কম।

এজন্য তার পালস রেট শোয়া অবস্থায় সবচেয়ে কম।  বসা অবস্থায় তার বসার জন্য শক্তির প্রয়োজন হয়েছে,

শারীরিক কর্মকান্ড বেড়েছে। তাই পালস রেট শোয়া অবস্থার চেয়ে বেড়েছে। দাড়ানো অবস্থায় তার শারীরিক কর্মকাণ্ডের জন্য শক্তি বসা অবস্থার চেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিলো। তাই পালস রেট বসা অবস্থার চেয়ে বেড়েছে। দ্রুতবেগে হাঁটা অবস্থায় তার শারীরিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে, হৃদয়পিন্ডের গতি বেড়েছে তাই পালস রেটও এ অবস্থায়  সবচেয়ে বেড়ে ১২০ হয়েছে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button