১৭ মার্চ কি দিবস – ১৭ মার্চ কেন পালন করা হয়? আপনারা যারা এই দিবস সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য আমাদের এই পোস্ট তৈরী করা হয়েছে। কারণ এখন পর্যন্ত অনেক ব্যক্তি আছেন যারা এই দিবসটি সম্পর্কে জানেন না।
আবার অনেকে এই দিবসটি সম্পর্কে জানেন কিন্তু এই দিবসটি পালন করা হয় কেন তার জানেন না। আজ আপনাদেরকে আমরা এই দিবস সম্পর্কিত সকল প্রশ্নের উত্তর জানিয়ে দিব। যাতে করে আপনাদের মধ্যে এ দিবসটি নিয়ে কোনও দ্বিধা-দ্বন্দ্ব না থাকে। তাহলে চলুন জেনে নেই ১৭ মার্চ দিবস সম্পর্কে।
১৭ মার্চ কি দিবস
১৭ মার্চ হচ্ছে জাতীয় শিশু দিবস। তবে এই দিনটিতে বাংলাদেশের কৃতি সন্তান জন্মগ্রহণ করেন। আর তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই প্রতিবছর ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। তবে এই দিনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জন্মবার্ষিকী নামে পরিচিত রয়েছে।
- ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবসের উক্তি, শুভেচ্ছা বার্তা, স্ট্যাটাস ও স্লোগান
- ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের উক্তি, শুভেচ্ছা বার্তা ও স্ট্যাটাস, কবিতা
১৭ মার্চ কেন পালন করা হয়
১৭ মার্চ যেহেতু জাতীয় শিশু দিবস এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী সেহেতু এই দিবসটি সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। আর ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করার কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি ভালোবাসার কারণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ১৭ মার্চ কে প্রথম জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছেন (১৯৯৬-২০০১) ক্ষমতাধীন থাকা কালীন।
শিশুদের প্রতি সচেতনতা সৃষ্টি এবং শিশুর অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ১৭ মার্চ আন্তর্জাতিকভাবে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। তাছাড়া এই দিবসটি শুধু বাংলাদেশের নয় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিজেদের মতো করে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে অক্টোবর মাসের প্রথম সোমবার বিশ্ব শিশু দিবস এবং শিশু অধিকার সপ্তাহ পালন করা হয়ে থাকে।
অন্যদিকে জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে বিশ্ব শিশু দিবস পালন করা হয় ২০ নভেম্বর। এরকম বেশ কয়েকটি দিন শিশুদের জন্য শিশুদের অধিকার এবং শিশুদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়ে থাকে। তবে একেক দেশের একেক তারিখে হয়ে থাকে। যেমনঃ বাংলাদেশের জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয় ১৭ ই মার্চ, পাকিস্তানি শিশু দিবস পালন করা হয় ১লা জুলাই, চীনের শিশু দিবস পালন করা হয় ৪ঠা এপ্রিল, যুক্তরাষ্ট্রে শিশু দিবস পালন করা হয় জুন মাসের দ্বিতীয় রবিবার এবং ব্রিটেনে শিশু দিবস পালন করা হয় ৩০শে আগস্ট। অন্যদিকে জাপানি শিশু দিবস পালন করা ৫ই মে এবং পশ্চিম জার্মানিতে শিশু দিবস পালন করা হয় ২০শে সেপ্টেম্বর।
যে তারিখে শিশু দিবস পালন করা হোক না কেন শিশু দিবস পালন করার মূল উদ্দেশ্যই হচ্ছে শিশুদেরকে সচেতন হিসেবে গড়ে তোলা এবং শিশুদের অধিকার রক্ষা এর পাশাপাশি শিশুদেরকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্কতা মূলক বার্তা এবং ভবিষ্যতের জন্য শিশু অধিকার রক্ষা করা।
তবে বাংলাদেশের ১৭ই মার্চ শিশু দিবস ঘোষনা করার কারণ হচ্ছে, বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি অপরিসীম আদর এবং স্নেহ দিয়েছেন। আর তাই তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ ২০০১ সালের নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর তৎকালীন বিএনপি সরকার শিশু দিবসের সরকারি ছুটি বাতিল করে দিয়েছেন।
আর এজন্য ২০০২-২০০৮ সাল পর্যন্ত কোনো শিশু দিবস পালন করা হয়নি। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ১৯শে জানুয়ারি শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন এবং এই দিনের সরকারী ছুটির ঘোষণা দিয়েছেন। তবে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা দিন হয় তখন আবার ১৭ই মার্চ জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে পালন করা শুরু হয়েছে।
১৭ মার্চ শিশু দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কারন
আমরা ইতিমধ্যে জেনে গিয়েছি যে ১৭ মার্চ শিশু দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শিশুদের প্রতি অন্যরকম দরদ দেখাতেন।শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুরে ভালোবাসাকে ধরে রাখার জন্য এই দিনটিকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে।
আর এই দিনটি শিশু দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার মূল কারন হচ্ছে এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জন্মগ্রহণ করেন।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন কবে
১৯২০ সালে ১৭ ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টঙ্গী পাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। যেহেতু এই দিনটি বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন সেহেতু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০০ তম জন্মবার্ষিকীতে ২০২০ সালে ১৭ মার্চ মুজিব বর্ষ উদযাপন করার সময় এই দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
আপনাদের কাছ থেকে আমরা আশা করছি যে, ১৭ মার্চ কি দিবস -১৭ মার্চ কেন পালন করা হয়? এর কারণ সম্পর্কে আপনারা অবগত হতে পেরেছেন। আর এই দিবসটি বাংলাদেশের সকল মানুষের কাছে অন্যতম একটি দিবস। আপনারা যদি এই দিবসটি সম্পর্কে আরো অন্যান্য তথ্য জানতে চান তাহলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।