নোটিশ

শবে কদরের নামাজ কত রাকাত? নিয়ম ও দোয়া আরবি – বাংলা

শবে কদরের নামাজর কত রাকাত? লাইলাতুল কদরের নামাজের নিয়ম ও দোয়া। পবিত্র রমজান মাসের কদর নামাজ নিয়ে অনেকের মনে অনেক ধরনের প্রশ্ন থাকে। যেমন শবে কদরের নামাজ কত রাকাত পড়তে হয়? শবে কদরের নামাজের নিয়ম কি বা কোন দোয়া পড়তে হয়। কিভাবে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে হয়? ইত্যাদি। তাই আজ আমরা আপনাদের জন্য এই প্রশ্নের উত্তর এবং শবে কদর সম্পর্কে কিছু তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। যাতে করে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই ও বোনেরা রমজান মাসের শেষ দশ দিনের যেকোনো বিজোড় রাত গুলোতে সঠিকভাবে এবাদত করতে পারেন।

শবে কদর নামাজ কত রাকাত?

লাইলাতুল কদর বা শবে কদরের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। তাই আপনারা শবে কদরের জন্য যত ইচ্ছা তত নফল নামাজ আদায় করতে পারেন, তবে শবে কদরের নামাজ গুলো দুই রাকাত করে নফল নামাজ আদায় করতে হবে এবং এই নামাজ গুলো যত সুন্দর করে পড়া যায় তত বেশি সওয়াব লাভ করা যায়।

আপনাদের মনে এখন প্রশ্ন আসতে পারে শবে কদরের জন্য কত রাকাত নামাজ আদায় করতে হয়? কিন্তু শবে কদরের নামাজের কোন বিশেষ উঠানে দৃষ্ট রাকাত নেই। আপনার সামর্থ্য অনুসারে আপনি যত খুশি তত নফল নামাজ আদায় করতে পারবেন।

সুতরাং শবে কদর নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই। তবে নামাজ পড়ার সময় দুই রাকাত নফল নামাজ নিয়ত করতে হবে।

শবে কদর নামাজের নিয়ম

শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে মনোযোগ সহকারে নামাজ পড়তে হবে এবং সেই সাথে দোয়া সমূহ সঠিক উচ্চারণ করতে হবে। এভাবে আপনারা দুই রাকাত করে যতখুশি নফল নামাজ আদায় করতে পারেন। তাছাড়া শবে কদরের নামাজ পড়ার জন্য বিশেষ কোনো সুরা নেই। আপনারা কোরআনের কোন আয়াত তেলাওয়াত করতে পারেন এবং বেশি বেশি ইস্তেগফার পারেন।

শবে কদর বা লাইলাতুল কদরের নফল নামাজ পড়ার নিয়ম হচ্ছে-

  • সঠিক পদ্ধতিতে অজু করে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়াতে হবে।
  • শবে কদরের জন্য দুই রাকাত নফল নামাজের জন্য নিয়ত করতে হবে। ( নিয়ত করার ক্ষেত্রে আপনারা মনে মনে ইচ্ছা পোষণ করতে পারেন অথবা আরবিতে উচ্চারণ করে নিয়ত করতে পারেন)।
  • আল্লাহু আকবার বলে সানা পাঠ করতে হবে।
  • তারপর সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর এর সাথে কুরআনের কোন আয়াত অথবা যে কোন সূরা সংযুক্ত করে পড়তে হবে।
  • এভাবে সাধারণ নামাযের মত করে সূরা পাঠ করার পর রুকু এবং সেজদা দিতে হবে।
  • তারপর প্রথম রাতের মতো দ্বিতীয় রাকাত নামাজ আদায় করে তাশাহুদ, দুরুদ শরীফ এবং মাসুরা পাঠ করে সালাম ফেরাতে হবে।
  • সালাম ফিরানো হয়ে গেলে জিকির করে অথবা সরাসরি আপনারা মোনাজাত ধরতে পারেন এবং মোনাজাত ধরার শেষে আপনারা জিকির করতে পারেন।

শবে কদর নামাজের নিয়ত

শবে কদর নামাজের নিয়ত আপনারা আরবিতে অথবা বাংলা উচ্চারণ করে বলতে পারেন। তবে আপনারা শবে কদর নামাজের জন্য যখন মনে মনে ইচ্ছা পূরণ করবেন তখনই আপনার সেই নামাজের নিয়ত হয়ে যায়। তবুও আপনারা যদি উচ্চারণ করে শবে কদরের নামাজ নিয়ত করতে চান তাহলে আপনারা বাংলায় যেভাবে নিয়ত করবেন তা হচ্ছে-

কদর নামাজের নিয়ত বাংলাতে

“হে আল্লাহ, আমি কিবলামুখী হয়ে আপনার সন্তুষ্টির জন্য শবে কদরের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত করছি- আল্লাহু আকবার”।

কদর নামাজের নিয়ত আরবিতে

তাছাড়া আপনারা যদি আরবীতে উচ্চারণ করে শবে কদরের নামাজের নিয়ত করেন তাহলে সেটি হচ্ছে-

“নাওয়াইতু আন্‌ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তা’য়ালা রাকআতাই সালালতিল লাইলাতিল কাদ্‌রি নফ্‌লে মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি- আল্লাহু আকবর।”

F&Q

১. শবে কদরে নামাজ কত রাকাত?

উত্তরঃ শবে কদরের নামাজের কোন নির্দিষ্ট রাকাত নেই।

২. রমজান মাসের কত তারিখে শবে কদর পালন করা হয়?

উত্তরঃ রমজান মাসের শেষের দশ দিন অর্থাৎ নাজাতের ১০ দিন বিজোড় রাতগুলো হচ্ছে শবে কদরের রাত। ( যেমনঃ ২১, ২৩, ২৫, ২৭, এবং ২৯ রমজান)।

৩. লাইলাতুল কদর বা শবে কদর কেন পালন করা হয়?

উত্তরঃ  লাইলাতুল কদর বা শবে কদর এই রাতে পবিত্র আল-কুরআন নাযিল করা হয়েছে। তাই এই রাত এত ফজিলতপূর্ণ এবং বরকতময় বলেই শবে কদর পালন করা হয়।

৪. শবে কদরের নামাজ নফল নাকি সুন্নত?

উত্তরঃ  শবে কদরের নামাজ হচ্ছে নফল নামাজ।

৫. শবে কদরের নামাজ কত রাকাত করে নিয়ত করতে হয়?

উত্তরঃ  শবে কদরের নফল নামাজ আদায় করার জন্য দুই রাকাত করে না কোন নামাজের নিয়ত করতে হবে।

Related Articles

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

Back to top button