Assignment

HSC BM Assignment Answer Bangla 2022

Bangladesh Technical Education Board HSC BM Assignment Answer Bangla 2022 Has Been Published. Technical Board Publish Class 11 Assignment Task to Promote Students next Class. So, They Publish Assignment Every Week. Student are Request To Complete Assignment on Time. After Complete Assignment Task, Teacher Will Analise The Assignment Submission Paper and Give him mark. So, They Publish HSC BM Bangla Assignment on 20 January 2022. Students have To Submit the BTEB HSC BM Bangla Assignment Answer Within 27  January 2022.

So, You are Here To Collect HSC BM Bangla Assignment Answer 2022. So, Today we have Published The Answer of HSC BM Assignment Bangla Subject. You may Looking For HSC BM Assignment Answer of All Subject, Read this post and Get others Assignment Answer from here.

BTEB HSC BM Assignment Bangla Answer 201

Recently, all educational institutions in the country have been closed due to coronavirus. So considering you, the next class will be passed based on the assignment from the Board of Education. Now, Check Below for Bangla Assignment Question 201 of HSC BM Course.

 

HSC BM Bangla Assignment Answer 2022

Now, at this Part you Will Get HSC BM Bangla Assignment Answer 2022. The Answer Provide you from The Experience Teacher and Related person from The Field. All Question solution are below.

বিএম-০১ (ক): অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ

গদ্য: অপরিচিতা

১। শিউলি ইডেন কলেজ থেকে বাংলায় এমএ পাশ করেছে, তাই তার বাবা বিয়ে ঠিক করে ফেললাে। পাত্র উচ্চ শিক্ষিত এবং সুদর্শন হওয়ায় শিউলি বিয়েতে রাজি হয়ে যায়। বিয়ের অনুষ্ঠানে এসে বিয়ের পূর্ব মূহুর্তে পাত্রের বাবা মােটা অংকের যৌতুক দাবি করায় শিউলি এবং তার বাবা মন স্থির করলাে যে, সে এমন পাত্রকে বিয়ে করবে না। তাই বিয়ের আসর থেকে পাত্রকে ফিরিয়ে দিলাে।

ক. হরিশ কোথায় কাজ করে?

খ. “মেয়ের বয়স যে, পনেরাে তাই শুনিয়া মামার মন ভার হইলাে কেন”? বুঝিয়ে দাও।

গ. উদ্দীপকের শিউলির সাথে অপরিচিতা গল্পের কার সাথে সাদৃশ্য পাওয়া যায় আলােচনা কর।

ঘ. উদ্দীপকের আলােকে অপরিচিতা গল্পের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর?

পদ্য: তাহারেই পড়ে মনে

এ্যাসাইনমেন্টানিধারিত কাজ

২। ফাতেমা আক্তারের স্বামী বিয়ের এক বছরের মধ্যেই মারা যান। প্রানপ্রিয় স্বামীর অকাল মৃত্যুতে তার হৃদয়ে বেদনার ছায়া নেমে আসে। স্বামী বেঁচে থাকতে ফাতেমা সারাক্ষণ আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকতাে। অথচ, এখন তার জীবনে কেবলই বিষন্নতা।

ক. বরিয়া শব্দের অর্থ কি?

উত্তর

ক) বরিয়া শব্দের অর্থ বরণ করে।

খ. “রিক্ত হস্তে! তাহারেই পড়ে মনে, ভুলিতে পারি না কোনাে মতে” এই পংক্তি দ্বারা কবি কি বুঝিয়েছেন? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর

খ) তাহারেই পড়ে মনে ভুলিতে পারি না কোন মতে। এই উক্তিটির মাধ্যমে কবি শীত ঋতু কে ভুলতে না পারার বেদনা ব্যক্ত করেছেন। প্রকৃতিতে বসন্ত আসার আগেই সর্বত্যাগী সন্নাসীর মতাে রিক্ত হাতে মাঘের শীত কুয়াশা চাদর গায়ে জড়িয়ে বিদায় নিয়েছে। শীতের বিদায় নেই কারাে কোন কষ্ট, কারাে কোনাে আক্ষেপ। সবাই বসন্তকে বরণ করে নিতে উদগ্রীব। কবির কেবল শীতের কথাই মনে পড়ছে, তাকে কিছুতেই ভুলতে পারছে না।

গ, ফাতেমার স্বামী হারানাের বেদনা তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সাথে কতটুকু মিল পাওয়া যায় আলােচনা কর।

উত্তর

গ) সুফিয়া কামালের ‘তাহারেই পড়ে মনে’ এটি একটি আত্মজৈবনিক কবিতা। এই কবিতায় কবির ব্যক্তি-জীবনের ছায়াপথ ঘটেছে। কবির বিয়ে হয়েছিল কৈশােরে। জ্ঞাতি ভ্রাতা। নেহাল হােসেনের সাথেই হয়েছিল শুভ পরিণয়। শিক্ষিত, উদার, আধুনিক মানসম্পন্ন স্বামীর সাথে মধুময় দাম্পত্য জীবনের সূচনা হয়েছিল। তিনি সুন্দর, সুখি ভবিষ্যৎ স্বপ্ন বুনেছিলেন। কিন্তু তার স্বপ্ন পূরণ হয়নি।অকালে মারক যায়। স্বামী। প্রচন্ড আঘাত পান তিনি।বিবর্ণ হয়ে কবির পৃথিবী। উদ্দীপকের ফাতেমার জীবনও স্বামীর অকাল মৃত্যুতে বিবর্ণ হয়ে পড়ে।সুফিয়া কামালের মতােই তার মধুময় দাম্পত্যজীবন ছিল, ছিল ভবিষ্যতের সুখস্বপ্ন। কিন্তু স্বামীর অকাল মৃত্যুতে তার স্বপ্ন। চুরমার হয়ে যায়।। অতএব ফাতেমার স্বামী হারানাের বেদনা তাহারেই পড়ে মনে কবিতার সাথে মিল পাওয়া যায়।

ঘ. উদ্দীপকের আলােকে “তাহারেই পড়ে মনে” কবিতার মূলভাব বিশ্লেষণ কর।

উত্তর

ঘ) তাহারেই পড়ে মনে’ কবিতায় কবি সুফিয়া কামালের ব্যক্তি জীবনের দুঃখময় ঘটনার ছায়াপাত ঘটেছে। স্বামী সৈয়দ নেহাল হােসেনের আকস্মিক মৃত্যুতে তার জীবনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়, তা কবিমনকে আচ্ছন্ন করে রাখে রিক্ততার হাহাকারে।। উদ্দীপকের ফাতেমার জীবনও স্বামীর অকাল মৃত্যুতে বিবর্ণ হয়ে পড়ে। সুফিয়া কামালের মতােই তার মধুময় দাম্পত্যজীবন ছিল, ছিল ভবিষ্যতের সুখস্বপ্ন। কিন্তু স্বামীর অকাল মৃত্যুতে তার স্বপ্ন। চুরমার হয়ে যায়।

প্রকৃতিতে নব বসন্তের আগমনও কবি হৃদয়ের সেই বিষাদময় রিক্ততার সুরকে মুছে ফেলতে পারেনি। তাই বসন্ত এলেও উদাসীন কবির অন্তর জুড়ে থাকে রিক্ত শীতের করুণ বিদায়ের। বেদনা। প্রকৃতির সঙ্গে মানব মনের সম্পর্ক নিবিড় ও আনন্দপূর্ণ। হওয়া সত্ত্বেও কবির শােকাচ্ছন্ন হৃদয়ে বসন্ত-প্রকৃতির প্রভাব কোনাে ভাবেই সে সম্পর্ককে জাগিয়ে তুলতে পারেনি এবং কবির অন্তরকেও স্পর্শ করতে পারেনি। গঠনরীতির দিক থেকে নাটকীয় রসপূর্ণ এ কবিতার সংলাপনির্ভর কথােপকথন একে বিশেষ তাৎপর্যময় করে তুলেছে।

উপন্যাস: লালসালু

৩। শাহাজাহান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা ঘুমকাতুরে। এ মেয়েটি ঠিকমতাে নামাজ পড়ে না, সারাক্ষণ ঘুম আর ঘুম। কিন্তু শাহাজাহান মিয়া এ বিষয়ে খুবই কঠোর। নামাজ না পড়ার অপরাধে সে স্ত্রীকে কঠোর শাস্তি দিতেও দ্বিধা করে না। এ রকম এক পরিস্থিতিতে একদিন সে তার প্রথম স্ত্রীকে বলে, “খােদার কামে ঐ সব ফাইজলামি চলে না। যাও, গিয়ে তারে ঘুম থিক্যা তােল, তারপর নামাজ পড়বার কও”।

ক. ‘লালসালু’ উপন্যাসে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল কে?

উত্তর

ক) লালসালু উপন্যাসে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছিল আক্কাস মিঞা।

খ. ‘জোরে হাইস না বইন, মাইনষে হনবাে।’ উক্তিটির অর্থ কী? বুঝিয়ে দাও।

উত্তর

খ) ‘জুড়ে হাইস না বইন, মাইনষে হুনবাে’ উক্তিটি দ্বার জমিলাকে উচ্চস্বরে না আসার জন্য ধর্মীয় অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। গ্রামের চপলা চঞ্চলা কিশােরী মেয়ে জমিলা সংসারের অভাব এ কারণে তার বিয়ে হয় মজিদের মতাে বৃদ্ধের সাথে। তারপরও তার মধ্যে পল্লীর দুরন্ত কিশােরীর স্বভাবটা রয়েই যায়, যা তার হাসিতে ফুটে উঠে। হাসতে হাসতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। বিচিত্র ভাবে জীবন্ত সে হাসি ঝরনার অনাবিল গতির মত ছন্দময়ী দীর্ঘ সমাপ্তহীন ধারা। এতে ভয় পেয়ে মসজিদের ওপর বউ রহিমা প্রশ্নোক্ত উক্তিটি করেছিল।

গ. উদ্দীপকের জুলেখা ‘লালসালু উপন্যাসের কোন চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।

উত্তর

গ) উদ্দীপকের জুলেখা লালসালু উপন্যাসের জমিলা চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। লালসালু উপন্যাসের মজিদের দ্বিতীয় স্ত্রীর। নাম জমিলা। সে গ্রামের চপলা চঞ্চলা বালিকা মজিদের ঘরে সে তার চপলতা প্রকাশ করতে না পারলেও মজিদের সৃষ্ট কঠিন নিয়ম মানতে পারেনা। ফলে তাঁর চরিত্রে অভদ্রতা প্রকাশ পায় সন্ধ্যা হতে না হতেই সে নামায না পড়ে ঘুমিয়ে যায়। নিদারুণ ঘুমের জন্য নামাজ তাে দূরের কথা মাঝে মধ্যে তার খাওয়া দাওয়ায় হয়ে উঠে না। উদ্দীপকে শাহাজাহান মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী জুলেখা ও লালসালু উপন্যাসের জমিলা চরিত্রের অনুরূপ। ঘুমকাতুরে জুলেখা জমিলার মত ঠিকমতাে নামাজ পড়ে না। এ অপরাধে স্বামীর কাছে কঠোর শাস্তি ভােগ করলেও তার অবস্থার পরিবর্তন হয়না। তাই জুলেখা জমিলা চরিত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

ঘ. উদ্দীপকটি ‘লালসালু উপন্যাসের একটি বিচ্ছিন্ন অংশমাত্র, সর্বাংশ নয়। মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।

উত্তর

ঘ) লালসালু উপন্যাসের একটি বিচ্ছিন্ন অংশমাত্র, সর্বাংশ নয়। মন্তব্যটি যথার্থ। আমাদের সমাজকে যারা পিছনের দিকে ধাবিত করে তাদের মধ্যে অন্যতম হলাে ধর্ম ব্যবসায়ীরা। আর ধর্ম যেহেতু মানুষের সবচেয়ে অনুভূতিশীল বস্তু তাই মানুষ খুব সহজে ধর্মের অপব্যাখ্যা বিশ্বাস করে। ফলে এসব ধর্মব্যবসায়ী ধর্মকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে। শাহজাহান মিয়া লালসালু উপন্যাসের মজিদের চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে। সেও স্ত্রীকে নামাজ না পড়ার কারণে শাস্তি দিতে দ্বিধা করে ন। শাহাজাহান মিয়া ধর্মীয় বিষয়ে অত্যন্ত কঠোরতা প্রকাশ পায়।। লালসালু উপন্যাসে এমনই একটি চরিত্র হলাে মজিদ। মিথ্যাবাদী ভনড ধর্ম ব্যবসায়ী সে পুরনাে এক কবরকে পীরের কবর বলে চালিয়ে দিয়েছে। মহব্বতনগর গ্রামের সাধারণ মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে পুঁজি করে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করে চলেছে। অবিরামভাবে।

বিএম-০১ (খ): অধ্যায় ও বিষয়বস্তুর শিরােনাম

এ্যাসাইনমেন্ট/নির্ধারিত কাজ

গদ্য: মাসি-পিসি

১। মা মরা মেয়ে নাজিরা। অনেক জাঁকজমকের সাথে বাবা তাকে মিয়াবাড়িতে বিয়ে দেয়। কিন্তু বিয়ের এক বছরের মাথায় বাবাও মারা যান। এদিকে নাজিরার উপর তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লােকজনের অত্যাচারও বেড়ে যায়। নাজিরার এ দু:খের দিনে তার পাশে এগিয়ে আসেন নাজিরার খালা। খালার আশ্রয়েই নাজিরা এখন নিরাপদ জীবনযাপন করছে।

ক. আহ্লাদির স্বামীর নাম কী?

উত্তর

ক) আহ্বাদী স্বামীর নাম জণ্ড

খ. “সােয়ামি নিতে চাইলে বৌকে আটকে রাখার আইন নেই”। -অর্থ কী? বুঝিয়ে লেখ।

উত্তর

উত্তরটি পরে আপডেট করা হবে।

গ. উদ্দীপকের নাজিরা “মাসি পিসি” গল্পের কোন চরিত্রের প্রতিরুপ? আলােচনা কর।

উত্তর

গ) উদ্দীপকের নাজিরা মাসি পিসি গল্পের আস্লাদির প্রতিরূপ।

মাসি-পিসি গল্পের আস্লাদীর বিয়ে হয় জগুর সঙ্গে। নেশাখাের জগুর সাথে আম্লাদির কোন বনিবনা ছিল না। জগু তাকে নানাভাবে নির্যাতন করতাে। কখনাে লাঠির আঘাত, কখনাে ঝাঁটাপেটা,কলকেপােড়া ছ্যাকা দিত।এমনকি কি তার অত্যাচারে আগ্লাদির গর্ভের সন্তান পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়।

স্বামীর এমন নিমমতা সহ্য করতে না পেরে আস্লাদ বাবার বাড়ি চলে আসে। এবং পিতৃ-মাতৃহীন মাসি পিসির আনুকূল্যে নির্ভর জীবন যাপন করে।

ঘ, নারীর নিরাপদ জীবন ব্যবস্থা করতে সমাজের ভূমিকা কী হওয়া উচিত বলে তুমি মনে কর? উদ্দীপক ও “মাসি পিসি” গল্পের আলােকে যৌক্তিক মতামত দাও।

উত্তর

ঘ) নারীর নিরাপদ জীবন ব্যবস্থা রক্ষায় সমাজের মানুষের সচেতন ভূমিকা কার্যকর পদক্ষেপ বলে আমি মনে করি।

মাসি পিসি গল্পে নারী নির্যাতনের এক নিখুঁত চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। পুরুষশাসিত সমাজে নারীরা নিগ্রহের শিকার। নেশায় চুর হওয়া স্বামীর নির্মমতা সহ্য করা তখনকার নারীরা অসচেতন। হওয়া ভাগ্যের ফের বলেই মেনে নিয়েছিল। মা বাবা হারা নাজিরা শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনের শিকার। স্বামী নানাভাবে অত্যাচার করে। সুখের স্বপ্ন বুকে লালন করে নাজিরা শ্বশুরবাড়ি গেলেও তার স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ মেনে নিয়ে তাকে চলে আসতে হয়।

সমাজের অধিকাংশ নারী অশিক্ষিত ও অসচেতন। নিজের অধিকার সম্পর্কে তারা সচেতন নয় এ কারণে সমাজে প্রতিটি নিরাপদ জীবন নিগ্রহের শিকার। নারীর নিরাপদ জীবনব্যবস্হা না থাকায় তার নিজেদের অসহায় ভাবে। স্বামীর নির্মমতা সহ্য করতে না পেরে হয়তাে অকালে জীবন দিতে হয়। কিন্তু নারীর নিরাপদ জীবন ব্যবস্হা রক্ষা করা সমাজের কর্তব্য। এ জন্য সমাজের প্রতিটি মানুষকেই সচেতন ভুমিকা গ্রহণ করতে হবে আমি মনে করি।

পদ্য: ঐকতান

২। বিদেশের মাটিতে বেড়ে উঠলেও রফিকের স্বপ্ন দেশে বড় রাজনীতিবিদ হওয়া। কিন্তু দেশে আসার পর সে উপলদ্ধি করে জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য সাধারণ। মানুষের সান্নিধ্যে যাওয়া জরুরি। যাদের ত্যাগ তিতিক্ষা ও শ্রম সাধনার ওপর দেশের মেরুদন্ড দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাদের অন্তরের ভাষা না বুঝলে তার স্বপ্ন অপরিপূর্ণ থেকেই যাবে।

ক. ঐকতান অর্থ কী?

উত্তর

ক) ঐক্যতন শব্দের অর্থ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে সৃষ্ট সুর, সমস্বর।এই কবিতায় বহু সুরের সমন্বয়ে এক সুরে বাঁধা পৃথিবীর সুরকে বােঝানাে হয়ছে।

খ, সে কবির বাণী লাগি কান পেতে আছি’- চরণটি ব্যাখ্যা কর।

উত্তর

খ) কবি রবীন্দ্রনাথ সেই কবির বাণীর জন্য কান পেতে আছেন, যার কবিতায় মাটির মানুষের কথা ধ্বনিত হয়ছে। ঐকতান কবিতায় কবির উপলব্ধি একদিকে অজানা প্রকৃতি অন্যদিকে সকল মানুষের সাথে তার সুরের সংযােগের অপূর্ণতা।কবি চেষ্টা করেছেন সংযােগ সাধনের,কিন্তু তার জীবনযাত্রার তাকে বাধা দিয়েছে। এজন্য সেই সাধারন মানুষের কথা যদি অন্য কবির কবিতায় উঠে আসে,সেটুকু শ্রবণেই কবি সন্তুষ্ট হতে চান।তাই কবি অধীর অপেক্ষায় কান পেতে আছেন।

গ. উদ্দীপকের ‘ঐকতান’ কবিতার সাদৃশ্য দিকগুলি আলােচনা কর।

উত্তর

গ) শ্রমজীবী মানুষের উপর করেই জীবন সংসার এগিয়ে চলে। উদ্দীপকে কে ঐক্যতান কবিতার এই দিকটি প্রতিফলিত হয়েছে।

ঐক্যতান কবিতায় শ্রমজীবী মানুষের গুরত্ব প্রকাশ পেয়েছে। নানা সীমাবদ্ধতায় কবি তাদের সাথে যােগ সূত্র রচনা করতে পারেননি। তবে তিনি একথা বুঝতে পেরেছেন যে, জীবনের সঙ্গে জীবনের সংযােগ ঘটাতে না পারলে শিল্পীর সৃষ্টি কৃত্রিম পণ্যে। পরিণত হয়। উদ্দীপকে রফিক বিদেশের মাটিতে বেড়ে উঠেছে। তার স্বপ্ন দেশে রাজনীতিবিদ হওয়া। এদেশের মেরুদন্ড দাঁড়িয়ে। আছে সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের ওপর, তাদের ত্যাগ তিতিক্ষা ও শ্রম সাধনার ওপর। তাদের অন্তরে ভাষা না বুঝলে রফিকের পক্ষে বড় রাজনীতিবিদ হওয়া সম্ভব নয়।

ঐকতান কবিতায় কবির মতে, প্রান্তিক শিল্প-সাহিত্যের অর্জনে যােগ্য সহান দিলেই শিল্প সাধনা পূর্ণতা পায়। উদ্দীপকে রফিকের মধ্যে ঐকতান কবিতার এই দিকটি সাদৃশ্য রয়েছে।

ঘ, “রফিক ও ঐকতান কবিতার কবির উপলদ্ধি একই ধারায় উৎসারিত”- এর যৌক্তিকতা বিশ্লেষণ কর।

উত্তর

ঘ) উদ্দীপকের রফিক ও ঐকতান কবিতায় কবির উপলব্ধি একই ধারায় উৎসারিত। রবীন্দ্রনাথের ঐকতান কবিতাটি কোভিদ চেতনায় উৎসারিত কবিতা। কবি আজীবন উচ্চ ধ্যান ধারণার অনুসারী ছিলেন। তিনি তার কাব্য মাটি ও মানুষকে প্রাধান্য দেন নি। কবির অপূর্ণতার প্রধান কারণ নিম্নবিত্তের জীবনকে আপন করে না পাবার। কবি নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ব্রাত্য জনতার সঙ্গে মিশতে না পারলেও তাদের গুরুত্বকে স্বীকার করে নিয়েছেন।

উদ্দীপকে বিদেশের মাটিতে বেড়ে ওঠা রফিক উপলব্ধি করেছেন জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ হওয়ার জন্য সাধারণ মানুষের সান্নিধ্য যাওয়া জরুরী। প্রান্তিক মানুষের সুখ-দুঃখ সম্পর্কে অবহিত হতে তাদের ভাষা বুঝতে হবে। তাদের স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে তাদের সাথে মিশতে হবে। রাজনীতিতে মনােযােগী হতে হলে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

ঐকতান কবিতায় কবির উপলব্ধি উদ্দীপকের রফিক নিজের জীবন ধারণ করেছেন। এদিক থেকে দুজনের উপলব্ধি একই ধারায় উৎসারিত।

নাটক : সিরাজউদ্দৌলা

৩। জাহনারা খাতুনের খুব কাছের লােক ছিল সুলতান মিয়া। জাহানারা খাতুন বিশ্বাস। | করে তার জমিজমা দেখাশােনার ভার দেন সুলতান মিয়াকে। কিন্তু একদিন জাহানারা খাতুন দেখেন তার সম্পত্তি সুলতান মিয়ার নামে হয়ে আছে। তিনি ভাবলেন এতদিন ভুল মানুষকে বিশ্বাস করেছেন। বিশ্বাস করা ভালাে কিন্তু অন্ধবিশ্বাস কখনাে কখনাে। মানুষকে পথে বসিয়ে দেয়।

ক, সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কী?

খ. “রজার ড্রেক প্রাণভয়ে কুকুরের মতাে ল্যাজ গুটিয়ে পালিয়েছে” ব্যাখ্যা কর।

গ. উদ্দীপকের সুলতান মিয়া “সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মীরজাফরকে ইঙ্গিত করে আলােচনা কর।

ঘ, “বিশ্বাস করা ভালাে কিন্তু অন্ধবিশ্বাস মানুষকে কখনাে কখনাে পথে বসিয়ে দেয়” সিরাজউদ্দৌলা নাটকের আলােকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।

note: All Answer are Collected from Newresultbd

Hope You Find the BTEB HSC BM Bangla Assignment Answer 2022. We try to Collect Answer For Every Question. if You have any Question, Then Comment Below and Get Answer Fast.

Examresultbd

I love to Write Education and Job Information Article. I hope you are enjoying to visit Examresultbd. Follow us on Google+ To Get Result Updates.

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Back to top button